মোঃজিল্লুর রহমান চারঘাট (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
হারিকেনকে একটা সময় রাতের সঙ্গী হিসেবে মনে করতো মানুষ। হারিকেন হাতে নিয়ে ছুটে চলতেন শহর থেকে গ্রামে গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতে হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হত বিভিন্ন যানবাহনে।
কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার আজ ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের আলোর গ্রাম বাংলার একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন!
সরেজমিনে চারঘাটের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য গ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের দোকান। তারা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে-ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করতো।
এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করতো। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না আগের মতো।
উপজেলার মিঞাপুর গ্রামের সাবেক এক হারিকেন মিস্ত্রি জানান, কয়েক বছর আগেও তিনি হারিকেন মেরামত করে সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু এখন মানুষ আর হারিকেন ব্যবহার করেন না। তাই তিনি তার ব্যবসা পরিবর্তন করে কৃষিকাজ করছেন।
এখন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির হাজার রকমের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। তাই তিনি আর হারিকেন বিক্রি করেন না।
কিছু দিন আগে বাজারে হারিকেন ঠিক করার মিস্ত্রি আসতো। এখন আর তাকে দেখি না। অনেক আগেই হারিকেন প্রচলন শেষ হয়ে গেছে। মোবাইল, টর্চ লাইট, এলইডি লাইট দিয়েই মানুষ চলাচল করে।
চারঘাট বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেকে বলেন, আগের মতো হারিকেন ব্যবহার কেউ করে না। আধুনিক যন্ত্রপাতি আসার পর একটা হারিকেনও বিক্রি হয়নি। এখন আবার এলইডি লাইট হারিকেনের মতো করে বানাইছে কেউ কেউ সখ করে সেগুলো কেনে।
Leave a Reply